1. live@dailytrounkhota.com : news online : news online
  2. info@www.dailytrounkhota.com : দৈনিক তরুণ কথা :
শুক্রবার, ০২ মে ২০২৫, ০২:৩৪ অপরাহ্ন
সর্বশেষ :
আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস পালনের আহবান মোস্তাফিজুর রহমান শামীমের প্রবাসীর পরিবারকে হয়রানির অভিযোগ কুমিল্লায় বজ্রপাতে ২ স্কুলছাত্রসহ নিহত ৪ নিজামীপুত্র-মীর কাশেম কন্যার গুরুতর অভিযোগ নেতৃবৃন্দের ফাঁসির জন্য বর্তমান জামায়াত নেতারা দায়ী মনোহরগঞ্জে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে জামায়াতের আর্থিক সহায়তা হাসনাবাদ মাতৃভূমি মডেল একাডেমিতে বর্বর হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ র‍্যালী অনুষ্ঠিত। প্রধানমন্ত্রী দুবারের বেশি থাকতে না পারার প্রস্তাবে একমত জামায়াত মাসিক আল মুনাদীর ৪০ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আল মুনাদী রুবি জয়ন্তী ২০২৫ অনুষ্ঠিত তৃণমূল কর্মীদের প্রত্যক্ষভোটে মনোহরগঞ্জ বিএনপির ওয়ার্ড সম্মেলন অনুষ্ঠিত গল্প –মৌলিনাথের একজন নন্দিনী ছিল –সুনির্মল বসু

সোনার মুকুট চুরি–ইয়াছিন আরাফাত

এম.এ.মান্নান.মান্না
  • প্রকাশিত: সোমবার, ৬ জানুয়ারী, ২০২৫
  • ৪৩ বার পড়া হয়েছে

রাতের শহর মেঘমালা যেন এক অদ্ভুত রহস্যে ঢাকা ছিল। শহরের প্রাচীন জাদুঘরে সেদিন একটি মহামূল্যবান গুপ্তধন প্রদর্শনী চলছিল। এটি ছিল রাজা রুদ্রনারায়ণের রাজ্যাভিষেকের সোনার মুকুট, যা বহু বছর আগে হারিয়ে গিয়েছিল এবং সম্প্রতি জাদুঘরে প্রদর্শনের জন্য আনা হয়েছিল। ১৪ বছরের কিশোর গোয়েন্দা নাফিস সেই প্রদর্শনী দেখতে গিয়ে তার গোয়েন্দাগিরি চালাতে ভুলে না। সে সবসময় রহস্য খোঁজে, আর এই প্রদর্শনী তাকে এক অদ্ভুত আকর্ষণে টানে।

প্রদর্শনীর শেষ রাতেই ঘটে যায় বড় একটি বিপর্যয়। মুকুটটি জাদুঘরের শক্ত সুরক্ষা ভেঙে চুরি হয়ে যায়। খবর ছড়িয়ে পড়তেই পুরো শহর উত্তাল। জাদুঘরের কর্তৃপক্ষ জানায়, চোর অত্যন্ত দক্ষ; কোনো আঙুলের ছাপ বা প্রমাণ ফেলে যায়নি।

নাফিসের মনে হলো, এটাই তার সুযোগ। সে সবার অলক্ষ্যে চুরির রহস্য সমাধানে নেমে পড়ে।

প্রথমে নাফিস জাদুঘরে গিয়ে মুকুট রাখা কাঁচের বাক্সটি পরীক্ষা করে। সে লক্ষ করে, কাঁচ ভাঙার চিহ্ন নেই, কিন্তু একটি ক্ষীণ সুগন্ধ ভেসে আসছে।

“এটা ল্যাভেন্ডারের গন্ধ!” সে আপন মনে বলে।

নাফিস জানত, শহরের মাত্র কয়েকটি জায়গায় এই সুগন্ধি পাওয়া যায়।

তারপর,নাফিস শহরের বিখ্যাত সুগন্ধি দোকান ‘আরোমা হাউস’-এ যায়। দোকানের মালিক তাকে জানায়, সম্প্রতি এক রহস্যময় ব্যক্তি ল্যাভেন্ডারের অর্ডার দিয়েছিল।

“তিনি লম্বা ছিলেন, গায়ের রং ফর্সা, আর হাতে কালো দস্তানা পরা ছিল,” দোকানদার বলে।

নাফিস এই তথ্য সংগ্রহ করে দেখে, শহরে লম্বা গড়নের এমন একজন ব্যক্তি আছেন—মিস্টার দুলাল, যিনি একজন প্রাচীন জিনিসের ব্যবসায়ী।

নাফিস দুলালের দোকানে গিয়ে একটি পুরোনো কয়েন সংগ্রহের অজুহাতে কথা বলে। সে দোকানে ল্যাভেন্ডারের গন্ধ পায় এবং দেখে একটি কাঁচের ছোট বাক্স, যা জাদুঘরের বাক্সটির মতো দেখতে।

নাফিস বুঝে যায়, দুলাল নিশ্চয়ই চুরির সঙ্গে জড়িত। তবে তার কাছে প্রমাণ নেই।

নাফিস দুলালের ওপর নজরদারি শুরু করে। এক রাতে সে দেখতে পায়, দুলাল তার দোকানের পেছনের একটি গুদামে ঢুকে পড়ে। নাফিস চুপিচুপি তার পিছু নেয়।

গুদামের ভেতর একটি পুরোনো কাঠের বাক্সের ভেতর মুকুটটি লুকানো ছিল। ঠিক তখনই দুলাল নাফিসকে ধরে ফেলে।

“তুমি এখানে কী করছো?” দুলাল হুমকি দেয়।নাফিস আগে থেকেই পুলিশ নিয়ে আসেন। তার পরিকল্পনা সফল হয়। পুলিশ এসে দুলালকে আটক করে।

মুকুটটি পুনরায় জাদুঘরে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। নাফিসের সাহসিকতা আর বুদ্ধিমত্তায় শহরবাসী গর্বিত হয়।

দুলালকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, সে আন্তর্জাতিক চোরচক্রের সদস্য। আর নাফিস? সে এখন শহরের আসল নায়ক!

শেষ।

কবি ও গল্পকার।

অর্থনীতি বিভাগ, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়

দপ্তর সম্পাদক, বাংলাদেশ তরুণ কলাম লেখক ফোরাম, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা। 

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন
© সমস্ত অধিকার সংরক্ষিত
ওয়েবসাইট ডিজাইন: ইয়োলো হোস্ট