1. live@dailytrounkhota.com : news online : news online
  2. info@www.dailytrounkhota.com : দৈনিক তরুণ কথা :
রবিবার, ২২ জুন ২০২৫, ০৮:৩০ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ :
প্রত্যক্ষভোটে মনোহরগঞ্জ বিএনপির ওয়ার্ড সম্মেলন অনুষ্ঠিত মনোহরগঞ্জে বিএনপির প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত মনোহরগঞ্জে ছাত্রদল কর্মীর বাবাকে জাতীয়তাবাদী প্রবাসী ফোরামের অটোরিকশা উপহার আগুনে পুড়ে সর্বস্ব হারানো শাহ আলমের পাশে মনোহরগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন দেশের মানুষ আর দূর্নীতিবাজদের ক্ষমতায় দেখতে চায়না- আলহাজ্ব সেলিম মাহমুদ নাথেরপেটুয়া ইসলামী সমাজ কল্যাণ পরিষদের উদ্যোগে ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত কাটুনীপাড়া দারুল উলুম মাদরাসার কমিটি, শিক্ষক ও এলাকার বিশিষ্ট জনদের নিয়ে ঈদ পূনর্মিলনী বিজিএমইএ ফোরামের মহাসচিব নির্বাচিত হওয়ায় ড. রশিদ আহমেদ হোসাইনীকে ফুলেল শুভেচ্ছা ৬ষ্ঠ বর্ষে পদার্পন  “স্বপ্ন নতুন আলোয় বানঘর” শুভেচ্ছা জানাতে এসেছেন ২৪টি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন লক্ষ্মীপুরে জামায়াত নেতাকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ

‘আয়নাঘর’ থেকে মুক্ত হলেন ঢাকা কলেজ ছাত্রদল নেতা রাসেল

অনলাইন ডেস্ক
  • প্রকাশিত: সোমবার, ১২ আগস্ট, ২০২৪
  • ১৯০ বার পড়া হয়েছে

নিখোঁজ হওয়ার এক মাস ছয় দিন পর গত ৬ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের কথিত টর্চার সেল ‘আয়নাঘর’ থেকে ফিরে এসেছেন ঢাকা কলেজ ছাত্রদল নেতা মো: আতিকুর রহমান রাসেল।

রাসেল শরীয়তপুর জেলা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক মো: আবুল হোসেন সরদারের ছেলে। তিনি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের ঢাকা কলেজ শাখার ১ নম্বর সহসভাপতি ছিলেন।

উদ্ধারের পর গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় তাকে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

গত ১ জুলাই সন্ধ্যায় ঢাকার আজিমপুর সাপরা মসজিদের কাছ থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাকে ধরে নিয়ে যায়। তারপর থেকে তার কোনো খোঁজ মিলছিল না।

তবে উদ্ধারের পর তিনি আয়নাঘরের নির্যাতনের ভয়াবহ বিবরণ দেন। বিবরণ দিতে দিতে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন তিনি।

তিনি জানান, গত ৫ আগস্ট রাতে রাষ্ট্রপতির অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ঘোষণার পর ওই দিন রাত ৩টার দিকে কালো কাপড়ে চোখ বেঁধে, হ্যান্ডকাফ পরিয়ে এনে তাকে কুড়িল বিশ্বরোডের কোনো একটি জায়গায় অন্ধকারের মধ্যে হ্যান্ডকাফ ও মুখ খুলে ফেলে চলে যাওয়া হয়। তবে তার মোবাইল ফোনটি তারা ফেরত দেয়নি।

পর দিন ভোর ৫টার দিকে এক পথচারীর ফোন থেকে তার অবস্থান জানতে পেরে সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে তার স্বজনরা। এরপর অসুস্থ অবস্থায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তবে এখন তার শারিরীক অবস্থা অনেকটা স্বাভাবিক।

এদিকে, নিখোঁজ হওয়ার পর তার শোকে পরিবারের সদস্যরা পাগল প্রায় ছিল। দীর্ঘদিন তার সন্ধান না পেয়ে একবার ডিবি অফিস, একবার ডিএমপিতে, একবার র‌্যাব অফিসে, একবার ডিজিএফআইসহ ঢাকার বিভিন্ন থানায় খোঁজ করেও তার হদিস পাননি তারা। তিনি যে আটক বা গ্রেফতার হয়েছেন, তাই কেউ স্বীকার করেনি।

রাসেল নিখোঁজ হওয়ার পর তার বাবা স্থানীয় সপ্তপল্লী সমাচার পত্রিকার সম্পাদক মো: আবুল হোসেন সরদার গত ২ জুলাই ঢাকার লালবাগ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। এরপর ৬ জুলাই লালবাগ জোনের পুলিশের ডিসির কাছে একটি আবেদনও করেন। মহাপুলিশ পরিদর্শক ও ডিএমপির পুলিশ কমিশনারকে ওই আবেদনের অনুলিপি দেয়া হয়েছিল।

এছাড়া মা হারা সন্তানকে ফিরে পেতে গত ১০ জুলাই উচ্চ আদালতে রিট করেন রাসেলের বাবা। আদালত ১১ জুলাই শুনানি শেষে রাসেলের বিষয়ে প্রতিবেদন দিতে পুলিশের আইজিপিকে রুল জারি করেন। কিন্তু তাতেও কোনো অগ্রগতি হয়নি।

এরপর ছাত্র জনতার প্রতিরোধের মুখে গত ৫ আগস্ট সরকার পতন হলে রাষ্ট্রপতি সব রাজবন্দীদের মুক্তি দেয়ার ঘোষণা দিলে তাকেও ছেড়ে দেয়া হয়।
সূত্র : ইউএনবি

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন
© সমস্ত অধিকার সংরক্ষিত
ওয়েবসাইট ডিজাইন: ইয়োলো হোস্ট