কুমিল্লার মনোহরগঞ্জে জাল দলিল সৃষ্টি করে জমি বিক্রির অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার বাইশগাঁও ইউনিয়নের হাউরা গ্রামের আবদুল বাতেন ও বেলাল হোসেন এ অভিযোগ করেন তাদের বড় ভাই আবু ছায়েদের বিরুদ্ধে।
আবদুল বাতেন ও বেলাল হোসেন জানান, তাদের বড় ভাই আবু ছায়েদ তাদের ভাই-বোনদের ২৬ শতক পৈত্রিক সম্পত্তি গোপনে দু’টি জাল দলিল সৃষ্টি করে তার স্ত্রী নুরজাহানের নামে খারিজ করেন। গত কয়েক মাস পূর্বে উক্ত জাল দলিলে একই গ্রামের আবদুল মজিদের নিকট ১২ শতক জমি বিক্রি করেন তিনি। পরে ওই ক্রেতা জমি দখল করতে এলে আমরা বিষয়টি জানতে পারি। এ বিষয়ে সামাজিক ভাবে সালিশ-বৈঠক বসে এবং জাল দলিলের বিষয়টি প্রমাণিত হয়। এ ঘটনায় আবু ছায়েদের শাস্তি দাবি জানান ওই দু’সহোদর।
ক্রেতা আবদুল মজিদ বলেন, আমি আবু ছায়েদের কাছ থেকে তার স্ত্রী নুরজাহানের নামে থাকা ১২ শতক জমি কিনি। জমি কেনার পর জানতে পারি জাল দলিলের মাধ্যমে জমিটি বিক্রি করেন আবু ছায়েদ।
আবদুল মজিদ আরও বলেন, জমি কেনার পর জানতে পারি ভুয়া দলিলের মাধ্যমে দেড় লাখ টাকায় জমিটি আবু ছায়েদ তার স্ত্রী নুর জাহানের নামে খারিজ করেন। আর জমি রেজিষ্ট্রি করার জন্য আমার কাছ থেকে ৬০ হাজার টাকা নিয়েছে। খারিজ ও রেজিস্ট্রির কাজ করেন, ভেন্ডার মোহাম্মদ হোসেন। এ নিয়ে বন্যার আগে গ্রামে শালিস বৈঠকও হয়েছে।
হাউরা গ্রামের মাতব্বর আনোয়ার হোসেন, প্রবাসী তোফাজ্জল হোসেন ডাক্তার আবুল হোসেন ও মোঃ হারুনুর রশিদ বলেন, ভুয়া দলিল দিয়ে খারিজ করে আবু ছায়েদ অনত্র এ জমি বিক্রি করেছে। এতে সামাজিকভাবে বিশৃংখলা সৃষ্টি হয়েছে। এ কাজে সহযোগিতা করেছে ভেন্ডার মোহাম্মদ হোসেন। তারা বলেন, আ’লীগের হাত ধরে ভেন্ডার মোহাম্মদ একই জায়গা একাধিকবার বিক্রি করে উভয় পক্ষের কাছ থেকে সুবিধা নে। আমরা সামাজিকভাবে ও প্রশাসনিকভাবে ভুয়া দলিল সৃষ্টিকারি ও সহযোগিতাকারীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত আবু ছায়েদ বলেন, আমার চাচাদের কাছ থেকে আমি জমি কিনেছি। আমি কোন ভুয়া দলিল সৃষ্টি করিনি।
এ বিষয়ে মনোহরগঞ্জ উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) নাসরিন বলেন, অনেক সময় দলিলে সমস্যা থাকলেও বুঝা যায়না। ভুয়া দলিলে খারিজ হয়ে থাকলে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট অভিযোগ করলে খারিজ বাতিল হবে।