1. live@dailytrounkhota.com : news online : news online
  2. info@www.dailytrounkhota.com : দৈনিক তরুণ কথা :
শনিবার, ০৩ মে ২০২৫, ০৯:১৮ অপরাহ্ন
সর্বশেষ :
সিরাজুল ইসলাম বিএনপির ওয়ার্ড সভাপতি নির্বাচিত মনোহরগঞ্জে শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের শ্রমিক দিবস পালন আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস পালনের আহবান মোস্তাফিজুর রহমান শামীমের প্রবাসীর পরিবারকে হয়রানির অভিযোগ কুমিল্লায় বজ্রপাতে ২ স্কুলছাত্রসহ নিহত ৪ নিজামীপুত্র-মীর কাশেম কন্যার গুরুতর অভিযোগ নেতৃবৃন্দের ফাঁসির জন্য বর্তমান জামায়াত নেতারা দায়ী মনোহরগঞ্জে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে জামায়াতের আর্থিক সহায়তা হাসনাবাদ মাতৃভূমি মডেল একাডেমিতে বর্বর হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ র‍্যালী অনুষ্ঠিত। প্রধানমন্ত্রী দুবারের বেশি থাকতে না পারার প্রস্তাবে একমত জামায়াত মাসিক আল মুনাদীর ৪০ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আল মুনাদী রুবি জয়ন্তী ২০২৫ অনুষ্ঠিত

আজ ১৯ অক্টোবর ইসলামী জাগরণের কবি ফররুখ আহমদের মৃত্যুবার্ষিকী

সরদার আব্বাস উদ্দিন
  • প্রকাশিত: শনিবার, ১৯ অক্টোবর, ২০২৪
  • ৬৭ বার পড়া হয়েছে
আজ ১৯ অক্টোবর বাঙালি মুসলিম কবিদের মধ্যে অন্যতম শ্রেষ্ঠ করি ইসলামী জাগরণের কবি ফররুখ আহমদের মৃত্যুবার্ষিকী। বিংশ শতাব্দীর এই কবি ইসলামি ভাবধারার বাহক হলেও তার কবিতা প্রকরণকৌশল, শব্দচয়ন এবং বাক্‌প্রতিমার অনন্য বৈশিষ্ট্যে সমুজ্জ্বল। আধুনিকতার সকল লক্ষণ তার কবিতায় পরিব্যাপ্ত। তার কবিতায় রোমান্টিকতা থেকে আধুনিকতায় উত্তরণের ধারাবাহিকতা পরিস্ফুট। ‘সাত সাগরের মাঝি’ কাব্যগ্রন্থে তিনি যে-কাব্যভাষার সৃষ্টি করেছেন তা স্বতন্ত্র এবং এ-গ্রন্থ তার এক অমর সৃষ্টি।
১৯১৮ সালের ১০ জুন মাগুরা জেলার মাঝআইল গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। খানসাহেব সৈয়দ হাতেম আলী ও রওশন আখতারের দ্বিতীয় ছেলে ফররুখ আহমদ। ১৯৩৭ সালে খুলনা জেলা স্কুল থেকে প্রবেশিকা, ১৯৩৯ সালে কলকাতা রিপন কলেজ থেকে আইএ পাস করেন। কলকাতা স্কটিশ চার্চ কলেজে ১৯৩৯ সালে দর্শন বিষয়ে, পরে ১৯৪১ সালে কলকাতা সিটি কলেজে ইংরেজি সাহিত্যে অনার্স নিয়ে বিএতে ভর্তি হন। কিন্তু নানাবিধ কারণে এখানেই অ্যাকাডেমিক শিক্ষার সমাপ্তি ঘটে। ১৯৪৩ সালে আইজি প্রিজন অফিস ও ১৯৪৪ সালে সিভিল সাপ্লাই অফিসে স্বল্পকাল চাকরি করেন। এরপর সাংবাদিকতা ও সাহিত্যচর্চা নিয়েই জীবনের বড় সময় কাটিয়েছেন ফররুখ আহমদ। তিনি রেডিও পাকিস্তান, ঢাকা ও বাংলাদেশ বেতারের নিজস্ব শিল্পী ছিলেন। আদর্শিক মতপার্থক্যের কারণে এবং দলীয় লেজুড়বৃত্তির তৈলাক্ত লেখা না লেখার জন্য শেখ মুজিবর রহমান সরকারের আমলে তাঁকে চাকুরিচ্যুত করা হয় এবং মিডিয়ায় তাঁর ওপর নিষেধাজ্ঞা তৈরি হয়।
১৯৬০ সালে ফররুখ আহমদ বাংলা একাডেমি পুরস্কার লাভ করেন। কবি ফররুখ আহমদ ১৯৬৫ সনে প্রেসিডেন্ট পদক প্রাইড অব পারফরমেন্স এবং ১৯৬৬ সালে পান আদমজী সাহিত্য পুরস্কার ও ইউনেস্কো পুরস্কার। ১৯৭৭ ও ১৯৮০ সালে তাকে যথাক্রমে মরণোত্তর একুশে পদক ও স্বাধীনতা পদক দেওয়া হয়। মুসলিম রেনেসাঁর কবি ফররুখ আহমদের কবিতাগুলো এখনো মানুষের জীবনে চির ভাস্বর হয়ে আছে। কবি ফররুখ আহমদ তার জীবনের প্রথম দিকে জড়বাদী চিন্তাচেতনায় আচ্ছন্ন থাকলেও এক সময় পেয়ে যান ‘হেরার রাজ তোরণ’ এর পথ। তখন স্রষ্টার প্রতি তার ঈমান কিংবা বিশ্বাস এতটাই সুদৃঢ় হয় যে, জড়বাদী সভ্যতার কোনো কিছুর সাথেই আপস করেননি মহান এই কবি। নিধারুণ অর্থকষ্টে পড়েছেন কবি। অর্ধাহারে অনাহারে দিনাতিপাত করে বিনা চিকিৎসায় তিনি হারিয়েছেন তার মেয়েকে এবং তিনি নিজেও মাত্র ৫৬ বছর বয়সে ১৯৭৪ সালের ১৯ অক্টোবর ঢাকার ইস্কাটন গার্ডেনে ইন্তেকাল করেন।
মহান রাব্বুল আলামীন তাঁকে জান্নাতের নিয়ামতে সমৃদ্ধ করুন এবং সম্মানিত করুন।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন
© সমস্ত অধিকার সংরক্ষিত
ওয়েবসাইট ডিজাইন: ইয়োলো হোস্ট