এই বাড়িটাতে শুধু পুড়া গন্ধটাই ছিল, সেটাও রাখতে দিল না। ধোঁয়ার স্মৃতি মুছে দিলো বাতাস, ভেঙে দিলো জানালার শিক। একদিন এখানে কান্নার শব্দ ছিল, আজ শুধু নীরবতার শাসন। সিঁড়িগুলো বেয়ে
সেদিন বিকেলে খোলা মাঠে দাঁড়িয়ে আকাশের সঙ্গে কথা বলতে গিয়েছিলাম। আকাশ বলল, এতদিনে আমার কথা মনে পড়লো? বললাম, একটা ঝামেলায় পড়ে গেছি। কী ব্যাপার? আগে বুঝতে পারিনি। প্রেমে ছ্যাঁকা খেয়েছি।
তোমার কণ্ঠে বেজে ওঠা সুরের ঐন্দ্রজালিক রেখা, আমার অন্তর্গত হৃদয়পটে আঁকে অনিঃশেষ আকুলতা। কত রাত্রি নির্ঘুম কাটিয়েছি তোমার স্বর শোনার অপেক্ষায় , সে আশায় জ্বলে ওঠে এক নক্ষত্রমণ্ডল, অনন্ত যন্ত্রণায়।
যদি লিখি কবিতা সাজিয়ে বিরহের উপমা, তোমরা ব্যাঙ্গাত্মক হাসি দিয়ে বল, কষ্টে আছি বড্ড,না হলে প্রেমে খেয়েছি ছ্যাকা, তাইতো বিষাদের ছড়াছড়ি ভাষার কারুকাজে। যদি লিখি কবিতা প্রেমের ঘ্রাণ মাখি শব্দে,
লিখবে আমায় তবে- সাদা কাগজ একটি হাতে একটি দাবী আছে তাতে দেখি আমি চেয়ে- চঞ্চলা এক মেয়ে । লিখতে হবে তাকে নিয়ে কাব্য আমার ছন্দ দিয়ে সবার মনের ঘরে- অনেক
টাকারে টাকা তোর জন্য নিত্য ঝরে ঘাম, তোর জন্য করে চলি নিত্য নতুন কাম। তোর জন্য আপন ভাইও হয়ে যায় পর, তোর জন্যই মনের মাঝে লোভ যে বাঁধে ঘর। তোর
শেষ বিকেলের আলোটুকু মুছে যাবার পর আকাশে একটি একটি করে তারা ফুটলো। সমুদ্রের ওপর চাঁদের ছায়া এসে পড়ল। মাসের পর মাস, বছরের পর বছর এভাবে জলে থাকতে থাকতে বাড়ির জন্য
ভাবছি বসে মন হতাসে বাল্য শিক্ষা আমার বাংলা ভাষার বই, কই গেলেরে শতকিয়ার ধারদপাত সেই নামতা শিখা বই। বাঁশের কন্চি দিয়ে কলম বানিয়ে লেখছি শিখছি অ আ ক, এখন সেই
আষাঢ়ের রোজনামচার মতো বারবার মেঘে ঢেকে যাচ্ছে মন আকাশ কিছুতেই সূর্যের দেখা মিলছে না একটু উত্তাপের আশায় শুকনো পাতা কুড়িয়ে জ্বালিয়ে দিই দিয়াশলাই এর কাঠি কাঙ্খিত উত্তাপ মিলছে না তবু্ও।
আজকের দিনটাও শুরু হলো ঠিক আগের মতো। কফির কাপের ধোঁয়া ভেসে উঠলো জানালার পাশে বসা শূন্যতায়। কিন্তু আজ অদ্ভুত এক গন্ধ— কফির নয়, পুরোনো কোনো বইয়ের পাতায় জমে থাকা দূরত্বের