মনোহরগঞ্জ (কুমিল্লা) প্রতিনিধি
কুমিল্লার মনোহরগঞ্জে চলমান এসএসসি পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বনের দায়ে ৫ জন পরীক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে। সোমবার (২১ এপ্রিল) উপজেলার বিপুলাসার আহাম্মদ উল্ল্যাহ উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোহতাসিম বিল্লাহ এর নেতৃত্বে একটি টিম বিভিন্ন কক্ষ থেকে ৫ জন শিক্ষার্থীর কাছ থেকে নকল উদ্ধার করে, কেন্দ্র সচিবের নিকট আইনুনাগ ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য সুপারিশ করলে তিনি(কেন্দ্র সচিব) ৫ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বিপুলাসার আহাম্মদ উল্ল্যাহ উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্র নকলের অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছে। কোনভাবেই থামানো যাচ্ছেনা নকলের বেপরোয়া প্রয়োগ। পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রশ্নপত্র পৌছার ২০ মিনিটের মধ্যেই হলগগুলোতে পৌঁছে দেওয়া হয় উত্তর পত্র। নকলের সরবরাহ করতে শিক্ষার্থীদের থেকে সিরিয়াস থাকেন সংশ্লিষ্ট স্কুলের শিক্ষকগণ। প্রতি বছরই বিপুলাসার আহাম্মদ উল্ল্যাহ উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে দায়িত্ব পালনে বিব্রত থাকেন দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসারগণ।
এ বিষয়ে মনোহরগঞ্জ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোহতাসিম বিল্লাহর সাথে কথা বললে তিনি জানান -আমরা মনোহরগঞ্জ উপজেলার সবগুলো কেন্দ্রে নকলমুক্ত পরিবেশে এসএসসি ও সমমানের পরিক্ষা নেওয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছি। এ ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট সকলে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করলে আসা করছি আমাদের টার্গেট বাস্তবায়ন করা সম্ভব।
মনোহরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফাহরিয়া ইসলাম জানান-বিপুলাসার আহাম্মদ উল্ল্যাহ উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে আজ জন এবং ৩/৪দিন আগে (বিপুলাসার মাদ্রাসা সাব কেন্দ্রে ২ জন পরিক্ষার্থী বহিস্কার হয়েছে। কেন্দ্রটিতে নকলের নিয়মিত অভিযোগ থাকার কারণে আমরা চেষ্টা করছি নকলমুক্ত পরিবেশে পরীক্ষা নেওয়ার জন্য। এ ক্ষেত্রে কেন্দ্রটিতে দায়িত্ব প্রাপ্ত সকলকে নকলমুক্ত পরিবেশ তৈরি করতে আরো আন্তরিক হওয়ার আহ্বান জানান।
এবিষয়ে কুমিল্লা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের ডেপুটি পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক কবির উদ্দিন আহমেদ জানান-বিপুলাসার আহাম্মদ উল্ল্যাহ উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রটি নিয়ে নকলসহ বিভিন্ন অসদুপায় অবলম্বনের অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে। আমরা(কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ড) কেন্দ্রটি নিয়ে সবসময় নজরদারিতে রাখছি। নকল রোধ করা সম্ভব না হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার চিন্তাও আমরা করছি।
অন্যদিকে পরীক্ষার সুষ্ঠু(নকলমুক্ত) পরিবেশ বজায় রাখতে প্রশাসনের নিয়মিত তৎপরতা অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।