1. live@dailytrounkhota.com : news online : news online
  2. info@www.dailytrounkhota.com : দৈনিক তরুণ কথা :
রবিবার, ০৪ মে ২০২৫, ১২:৩০ অপরাহ্ন
সর্বশেষ :
লাকসাম বিএনপির ৩টি জনসভায় নেতাকর্মীদের ঢল সিরাজুল ইসলাম বিএনপির ওয়ার্ড সভাপতি নির্বাচিত মনোহরগঞ্জে শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের শ্রমিক দিবস পালন আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস পালনের আহবান মোস্তাফিজুর রহমান শামীমের প্রবাসীর পরিবারকে হয়রানির অভিযোগ কুমিল্লায় বজ্রপাতে ২ স্কুলছাত্রসহ নিহত ৪ নিজামীপুত্র-মীর কাশেম কন্যার গুরুতর অভিযোগ নেতৃবৃন্দের ফাঁসির জন্য বর্তমান জামায়াত নেতারা দায়ী মনোহরগঞ্জে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে জামায়াতের আর্থিক সহায়তা হাসনাবাদ মাতৃভূমি মডেল একাডেমিতে বর্বর হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ র‍্যালী অনুষ্ঠিত। প্রধানমন্ত্রী দুবারের বেশি থাকতে না পারার প্রস্তাবে একমত জামায়াত

খালেদা জিয়াকে নিয়ে গর্ব করায় কাল হলো ফেনীর

সিদ্দিক আল মামুন, ফেনী
  • প্রকাশিত: রবিবার, ১০ নভেম্বর, ২০২৪
  • ৪৭ বার পড়া হয়েছে
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে নিয়ে গর্ব করত ফেনীবাসী। সেটাই কাল হয়েছে। সেটাই ফেনীর উন্নয়ন-অগ্রগতির পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। ‘ফেনীর মেয়ে খালেদা, গর্ব মোদের আলাদা’ এই উক্তিটি জেলার জনপদসহ সারা দেশে বেশ পরিচিত। ফেনীতেই খালেদা জিয়ার পৈতৃক নিবাস। এখান থেকেই (ফেনী-১) টানা পাঁচবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন দেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। তাঁর নামের ছোঁয়ার কারণেই দীর্ঘ দেড় যুগ ধরে আশীর্বাদের বদলে ফেনী ছিল অভিশপ্ত। হাজার কোটি টাকার উন্নয়নের তকমা লাগালেও, সত্যিকার অর্থে ফেনী ছিল সম্পূর্ণ অবহেলিত জেলা। যার পিছনের একমাত্র কারণ ছিল খালেদা জিয়ার জন্মভূমি। স্বাস্থ্য, শিক্ষা, চিকিৎসা, চাকরিবাকরি, ব্যবসাবাণিজ্য সবজায়গাই ফেনীর মানুষ ছিল অনেকটা কোণঠাসা। হযবরল মুহুরী নদীর ড্রেনেজ ব্যবস্থা, ২৭ বছরেও চালুর মুখ দেখেনি ফেনী-বিলোনিয়া রেলপথ, ১৮ লাখ মানুষের জনপদে হয়নি কোনো পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় কিংবা মেডিকেল কলেজ। পরশুরাম পৌরসভার সাবেক মেয়র আবু তালেব বলেন, খালেদা জিয়ার জন্মভূমি ফেনী হওয়াই কাল হলো আমাদের। গোপালগঞ্জের তুলনায় বিন্দুপরিমাণ উন্নয়নের কাজ হয়নি এখানে। খালেদা জিয়ার পরিকল্পনায় অর্ধ নির্মিত হওয়া মেডিকেল কলেজের ভবনেও আগুন লাগিয়ে দিয়েছিল ফেনীর তৎকালীন ক্যাডার জয়নাল হাজারী। ফেনীর মানুষকে সন্ত্রাসী কায়দায় অবরুদ্ধ করে রেখেছিল ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ, এমনটাই দাবি করেন জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আনোয়ার হোসেন পাটোয়ারী। তিনি বলেন, শুধু ফেনীর পরিচয়ের কারণে বিগত সরকারের আমলে বহু তরুণের চাকরি হয়নি। অনেক যোগ্য কর্মকর্তার পদোন্নতি না দিয়ে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হতো। জিয়ার নাম পর্যন্ত মুছে ফেলার নীলনকশা এঁকেছিল বলে দাবি করছেন, জেলা বিএনপির সদস্যসচিব আলাল উদ্দিন আলাল। তিনি বলেন, আমাদের নেতার নামে নির্মিত ফুলগাজী জিয়া মহিলা কলেজের নাম পরিবর্তন করে দিয়ে তারা প্রমাণ করেছিল, আওয়ামী লীগ চায় না জিয়ার কোনো নামফলক থাকুক। ফেনীর মানুষ আওয়ামী লীগকে ভোট দিত না, তাই তারা এই জেলায় কোনো উন্নয়ন করেনি, এমনটাই দাবি করছেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সভাপতি ও (ফেনী-১) আসনের সমন্বয়ক রফিকুল আলম মজনু। তিনি বলেন, বেগম জিয়াকে পিছিয়ে রাখার জন্য, পরিকল্পিতভাবে বিগত সরকার ফেনী জেলা তথা এই জনপদকে পিছিয়ে রেখেছিল। ফেনীর কথা বললেই সরকারি কিংবা বিভিন্ন সংস্থার চাকরিতে পদোন্নতি হতো না। ধানের শীষকে ভোট দেওয়ায় ছিল এখানকার মানুষের সবচেয়ে বড় অপরাধ। মজনু আরও বলেন, ছয়টি ইউনিয়ন থাকা সত্ত্বেও কিন্তু খালেদা জিয়ার উপজেলা ফুলগাজীকে পৌরসভা করেনি, এর পিছনেও ছিল নেত্রীকে টার্গেট করে আওয়ামী লীগের গভীর ষড়যন্ত্র।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন
© সমস্ত অধিকার সংরক্ষিত
ওয়েবসাইট ডিজাইন: ইয়োলো হোস্ট