শাহাদাত হোসেন: মনোহরগঞ্জ উপজেলার জামায়াতের সেক্রেটারী শাহাবুদ্দিন হায়দার বলেছেন, জনগণের জানমালের নিরাপত্তা বিধান ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় জামায়াতে ইসলামী থানা ও ওয়ার্ড পর্যায়ে স্বেচ্ছাসেবক টিম গঠন করে এলাকা ভিত্তিক কাজ করে যাচ্ছে।
শনিবার (১০ আগস্ট) দুপুর ২টার দিকে মনোহরগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন ওয়ার্ডে ঘুরে দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে এসব কথা বলেন তিনি।
ডা: শাহাবুদ্দিন হায়দার , দীর্ঘ ১৮ বছর ধরে আওয়ামী স্বৈরাচারের চরম জুলুম, নির্যাতন, সন্ত্রাস, নৈরাজ্য ও বঞ্চনার শিকার হয়েছেন। ওই শৈরাশাসীত সরকারে ক্যাডারদের হাতে তিনি শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন।ছাত্র জনতার ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মুখে এই স্বৈরাচার উৎখাত হয়েছে আলহামদুলিল্লাহ। এই বিজয় অর্জনে অগণিত ছাত্র-ছাত্রীদের কে জীবন দিতে হয়েছে। একই সাথে গরীব খেটে খাওয়া মানুষ থেকে শুরু করে অসংখ্য নারী, শিশু, শ্রমিকসহ সর্বস্তরের মানুষকে জীবন দিতে হয়েছে। অগণিত মানুষের জীবনের বিনিময়ে অর্জিত এই বিজয় পৃথিবীর ইতিহাসে নজিরবিহীন এ জন্য মহান আল্লাহ তা’আলার শুকরিয়া আদায় করছি। এই জন্য দেশবাসীকে ও মনোহরগঞ্জ উপজেলার সর্বস্তরের জনগণকে অভিনন্দন- শুভেচ্ছা জানাই। এই আন্দোলনে ৪ সাংবাদিক, ৪৬ জন পুলিশ সদস্যও নিহত হয়েছে। আমরা এ আন্দোলনে নিহত সকল শহীদদের রুহের মাগফেরাত কামনা করছি । একই সাথে হাজার হাজার চোখ হারানো, পঙ্গুত্ব বরণকারী ও আহতদের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি এবং তাদের আশু আরোগ্য কামনা করছি।
তিনি আরও বলেন, অসংখ্য শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত এ মহান বিজয়ের অর্জন কে ধরে রাখতে মনোহরগঞ্জ উপজেলার জামায়াতের পক্ষ থেকে সর্বস্তরের জনগণের প্রতি বিনীত অনুরোধ জানাচ্ছি। এ বিজয় কে বিতর্কিত করতে পতিত স্বৈরাচারের প্রেতাত্মারা এখনো গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। এমতাবস্থায় দেশে সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে আনা, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা, অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আমাদের সকলকে ঐক্যবদ্ধ ভূমিকা পালন করতে হবে।
জামায়াত নেতা শাহাবুদ্দিন হায়দার আরও বলেন, জামায়াতে ইসলামী মনোহরগঞ্জ উপজেলার পক্ষ থেকে ইতিমধ্যে এবিষয়ে প্রশাসন কে ও উপজেলার সকল মানুষকে সার্বিক সহযোগিতা প্রদানের চেষ্টা করে যাচ্ছি। জনগণের জানমালের নিরাপত্তা বিধান ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় জামায়াতে ইসলামী থানা ও ওয়ার্ড পর্যায়ে স্বেচ্ছাসেবক টিম গঠন করে এলাকা ভিত্তিক ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। আমরা লক্ষ্য করছি যে উপজেলায় একটি স্বার্থান্বেষী মহল সরকারি-বেসরকারি স্থাপনা ও ব্যক্তির উপর হামলা করছে। এটা কোনভাবেই সমর্থন যোগ্য নয়। এ হীন কাজ যারা করছে তাদেরকে চিহ্নিত করে আইনের আওতায় নিয়ে আসার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।
উপজেলা জামায়াত সেক্রেটারি বলেন, সকল ধর্মের মানুষের পাশাপাশি মন্দিরসহ বিভিন্ন উপাসনালয়ে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য প্রশাসন ও সকল মানুষের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানান। দেশের চলমান পরিস্থিতিতে জামায়াতের সকল নেতাকর্মী, ছাত্র-শিক্ষক, অভিভাবক ও সকল রাজনৈতিক দল এবং সর্বস্তরের জনগণের প্রতি বলিষ্ঠ ভূমিকা পালনের আহ্বান জানাচ্ছি। দুষ্কৃতিকারীরা কোন অবস্থাতেই যেন অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি সৃষ্টি করে ছাত্র জনতার এ বিজয় কে নস্যাৎ করতে না পারে সেদিকে সজাগ ও সতর্ক দৃষ্টি রাখার জন্য সাংবাদিক বন্ধুগণসহ সকলের প্রতি বিশেষভাবে অনুরোধ জানাচ্ছি। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার জন্য স্থানীয় প্রশাসনের প্রতি জোর দাবি জানাচ্ছি।