1. live@dailytrounkhota.com : news online : news online
  2. info@www.dailytrounkhota.com : দৈনিক তরুণ কথা :
বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১:২৬ অপরাহ্ন
সর্বশেষ :
স্বাধীনতার লক্ষ্য এখনো পূরণ হয়নি -ড. সরওয়ার সিদ্দিকী তালামীযে ইসলামিয়া মৌলভীবাজার সদর উপজেলার প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত সিলেটে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ ও শ্রমিক লীগের ২ নেতা গ্রেফতার গণভোট বিষয়ে জনসচেতনতায় ব্যাপক প্রচারণা ইসির মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করে ফেরার পথে সাবেক যুবলীগ নেতা গ্রেফতার হাদিকে হত্যাচেষ্টাকারীদের সম্পর্কে এখনই সবকিছু বলা যাবে না : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা তোমাকে না পাওয়ার আক্ষেপ –সারোয়ার মাহিন ডাকসু ভিপি সাদিক কায়েমের নের্তৃত্বে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ঘেরাও আমাদের ভুলকে শুধরিয়ে নিতে আপনাদের লেখনি উম্মুক্ত – ড.সরওয়ার সিদ্দিকী হাদিকে নিয়ে সিঙ্গাপুরের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়ল এয়ার অ্যাম্বুলেন্স

টঙ্গী ফ্লাইওভারের গেট বন্ধ — স্থায়ী সমাধান নয়, বিকল্প নিরাপত্তা প্রয়োজন

অনলাইন ডেস্ক
  • প্রকাশিত: সোমবার, ৮ ডিসেম্বর, ২০২৫
  • ৪০ বার পড়া হয়েছে
টঙ্গী পূর্ব থানার উদ্যোগে টঙ্গী ফ্লাইওভারের বাটা গেট সংলগ্ন নামা ও ওঠার পথ এবং আশরাফ সেতু সংলগ্ন ওঠানামার পথ সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এই উদ্যোগটি নিরাপত্তাজনিত কারণে নেওয়া হলেও তা কোনো স্থায়ী বা বাস্তবসম্মত সমাধান নয় — বরং এতে নতুন ধরনের ভোগান্তির সৃষ্টি হতে পারে।
প্রতিদিন হাজারো মানুষ এই পথ দিয়ে চলাচল করে। অনেকেই দূর-দূরান্ত থেকে এসে প্রথমবারের মতো এই এলাকায় নামে, তারা পরিস্থিতি না বুঝেই হঠাৎ জরুরি মুহূর্তে বিপদের মুখে পড়ে যেতে পারে। দিক নির্দেশনা না জানা যাত্রীদের এমন অবস্থায় দৌড়ানোর বা নিরাপদে সরে যাওয়ার কোনো পথ খোলা থাকবে না। এতে ছিনতাইয়ের ঝুঁকি যেমন কমবে না, বরং মানুষ আরো অসহায় হয়ে পড়বে। তাই গেট বন্ধ করা কোনো স্থায়ী সমাধান নয়, বরং নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য যুগোপযোগী পদক্ষেপ গ্রহণ জরুরি।
এখানে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ তিনটি বিষয় অবহেলিত থেকে যাচ্ছে—
১. সিসিটিভির আওতায় আনা:
এই এলাকার প্রতিটি ঝুঁকিপূর্ণ স্পটে উচ্চমানের সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করতে হবে। পুলিশ যেন সরাসরি মনিটরিং করতে পারে এমন ব্যবস্থা নিশ্চিত করা উচিত। এতে কোনো অপরাধ ঘটলে তাৎক্ষণিকভাবে শনাক্ত ও ব্যবস্থা নেওয়া সহজ হবে।
২. পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা:
রাতের অন্ধকারে ছিনতাই ও হত্যার ঝুঁকি বেড়ে যায়। তাই বাটা গেট, আশরাফ সেতু ও ফ্লাইওভার সংলগ্ন প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে পর্যাপ্ত লাইটিং নিশ্চিত করতে হবে। উজ্জ্বল আলোকসজ্জা অপরাধীকে নিরুৎসাহিত করবে এবং সাধারণ মানুষ নিরাপদ অনুভব করবে।
৩. ২৪ ঘণ্টা পুলিশ টহল:
গেট বন্ধ রেখে সমস্যার সমাধান করা যাবে না, বরং নিয়মিত ২৪ ঘণ্টা পুলিশ টহল চালু করলে অপরাধ কমবে। পুলিশ উপস্থিতির কারণেই অপরাধী দলগুলো আসতে ভয় পাবে।
যদি এই তিনটি ব্যবস্থা বাস্তবায়ন করা হয়, তাহলে সাধারণ মানুষ নির্বিঘ্নে, বিনা ভয়ে দিন-রাত চলাচল করতে পারবে। গেট খুলে দিলে মানুষের স্বাধীন চলাচল যেমন নিশ্চিত হবে, তেমনি অপরাধ দমনেও আসবে স্থায়ী সমাধান।
তাই আমরা আশা করি, গেট ভেঙে প্রতিরোধমূলক এই ব্যবস্থাগুলো দ্রুত গ্রহণ করা হবে। সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রশাসন, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ও সামাজিক সংগঠনসহ সবাইকে গুরুত্বসহকারে এগিয়ে আসার আহ্বান জানাই।
আপনারাও আপনাদের মতামত তুলে ধরুন, সচেতনতার জন্য শেয়ার করুন।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন
© সমস্ত অধিকার সংরক্ষিত
ওয়েবসাইট ডিজাইন: ইয়োলো হোস্ট