1. live@dailytrounkhota.com : news online : news online
  2. info@www.dailytrounkhota.com : দৈনিক তরুণ কথা :
শনিবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৫:২৬ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ :
স্বাধীনতার লক্ষ্য এখনো পূরণ হয়নি -ড. সরওয়ার সিদ্দিকী তালামীযে ইসলামিয়া মৌলভীবাজার সদর উপজেলার প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত সিলেটে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ ও শ্রমিক লীগের ২ নেতা গ্রেফতার গণভোট বিষয়ে জনসচেতনতায় ব্যাপক প্রচারণা ইসির মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করে ফেরার পথে সাবেক যুবলীগ নেতা গ্রেফতার হাদিকে হত্যাচেষ্টাকারীদের সম্পর্কে এখনই সবকিছু বলা যাবে না : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা তোমাকে না পাওয়ার আক্ষেপ –সারোয়ার মাহিন ডাকসু ভিপি সাদিক কায়েমের নের্তৃত্বে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ঘেরাও আমাদের ভুলকে শুধরিয়ে নিতে আপনাদের লেখনি উম্মুক্ত – ড.সরওয়ার সিদ্দিকী হাদিকে নিয়ে সিঙ্গাপুরের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়ল এয়ার অ্যাম্বুলেন্স

পল্লবীতে স্বামী-স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যা, সৌদিপ্রবাসী যুবক গ্রেপ্তার।।

স্টাফ রিপোর্টার:
  • প্রকাশিত: শুক্রবার, ৩০ মে, ২০২৫
  • ১৮৬ বার পড়া হয়েছে
একসঙ্গে তিনটা নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে গেছে আজ। পল্লবীর একটা বাড়ির পঞ্চম তলা থেকে এক সঙ্গে বের হলো দুটো নিথর দেহ আর একটা জীবনব্যাপী অনুশোচনা।
একটা মেয়ের ছলনা, এক ছেলের অন্ধ ভালোবাসা, আর আরেকটা স্বামীর নিরীহ উপস্থিতি—সব মিলিয়ে র ক্তা ক্ত তিনটি পরিবারের স্বপ্ন।
ফেসবুক ইনবক্স থেকে প্রতারণার যে গল্পটা শুরু হয়েছিল, তার চূড়ান্ত পরিণতি লাশের গন্ধে।
গোপালগঞ্জের মেয়ে দোলনা আক্তার। রাজধানীর উত্তরা ইউনিভার্সিটিতে এলএলএম করছেন। সাবলেট থাকতেন মিরপুর-১১ নম্বরে একটি ভবনের পাঁচতলায়। ভালোবেসে বিয়ে করেন বরগুনাতে ওষুধ কোম্পানিতে চাকরি করা পাপ্পুকে।
স্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে মাঝেমধ্যেই ঢাকায় আসা-যাওয়া করতেন পাপ্পু। দুই দিন আগেও তিনি বরগুনা থেকে ঢাকায় আসেন।
দোলনা ভালোবেসে বিয়ে করলেও ফেসবুকের সূত্র ধরে জড়িয়েছিলেন এক ভিন্ন সম্পর্কে। নিজের বিয়ের খবর গোপন রেখে সৌদি প্রবাসী গাউস মিয়ার সঙ্গে দহরম-মহরম চলছিল।
প্রিয়তমার সঙ্গে দেখা করার উদ্দেশ্যে সৌদি থেকে দেশে আসেন গাউস মিয়া। কয়েকবার দেখা-সাক্ষাৎও করেন দুজনে। কিন্তু আজ স্বামী সঙ্গে থাকায় গাউস মিয়ার ফোন ধরেছিলেন না দোলনা। এদিকে গাউস মিয়াও জানতেন না দোলনা বিয়ে করেছেন আগেই।
ফোন না ধরায় পূর্বে দেওয়া ঠিকানার সূত্র ধরে দোলনার খোঁজে আসেন গাউস।
এদিকে সকালে বাসার বাইরে একটি খাবার হোটেলে নাশতা করতে গিয়েছিলেন দোলনা ও তাঁর স্বামী পাপ্পু। গাউস মিয়া তাঁদের দুজনকে একসঙ্গে দেখে অনুসরণ করতে থাকেন। দোলা ও পাপ্পুকে একসঙ্গে বাসায় উঠতেও দেখেন তিনি। বিষয়টির খোঁজ করতে গিয়ে জানতে পারেন, দোলা আগেই বিয়ে করেছেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে বাসা থেকে দুটি ছুরি নিয়ে দোলার বাসায় যান গাউস। পরে দোলা ও তাঁর স্বামী পাপ্পুকে কুপিয়ে হত্যা করেন।
এক কাপ চায়ের মতো ভালোবাসা যখন ঠান্ডা হয়, তখন তা বিষ হয়ে ওঠে। সেই বিষই উগরে দিলেন গাউস মিয়া। যদিও ভালোবাসা কখনও খুন করতে শেখায় না।
একটা মিথ্যা সম্পর্ক আর ছলাকলায় তিনটা পরিবার আজ বোবা। এই ঘটনা কেবল প্রেমঘটিত নয়, এটা সততার অভাব, আবেগের অন্ধত্ব, আর সম্পর্কের দায়িত্বশূন্যতার এক রক্তমাখা দলিল। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে মারণাস্ত্রের চেয়েও ভয়ংকর হয়ে উঠেছে পরকীয়া।
নারীর ছলনা খুব বিষাক্ত !! এক প্রকার নীরব ঘাতক!!
ক্যান্সারের চেয়েও ভয়ংকর!!!
নীরবেই নিঃশেষ করে দেয় হাজারো স্বপ্ন!!
হায়রে পরকীয়া….!!!
এই পরকীয়ার জন্য কত জীবন যে অকালেই ঝরে যাচ্ছে,কত পরিবার এই পরকীয়ার জেরে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাচ্ছে, ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে !!

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন
© সমস্ত অধিকার সংরক্ষিত
ওয়েবসাইট ডিজাইন: ইয়োলো হোস্ট