1. live@dailytrounkhota.com : news online : news online
  2. info@www.dailytrounkhota.com : দৈনিক তরুণ কথা :
বৃহস্পতিবার, ০১ মে ২০২৫, ০১:২১ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ :
আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস পালনের আহবান মোস্তাফিজুর রহমান শামীমের প্রবাসীর পরিবারকে হয়রানির অভিযোগ কুমিল্লায় বজ্রপাতে ২ স্কুলছাত্রসহ নিহত ৪ নিজামীপুত্র-মীর কাশেম কন্যার গুরুতর অভিযোগ নেতৃবৃন্দের ফাঁসির জন্য বর্তমান জামায়াত নেতারা দায়ী মনোহরগঞ্জে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে জামায়াতের আর্থিক সহায়তা হাসনাবাদ মাতৃভূমি মডেল একাডেমিতে বর্বর হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ র‍্যালী অনুষ্ঠিত। প্রধানমন্ত্রী দুবারের বেশি থাকতে না পারার প্রস্তাবে একমত জামায়াত মাসিক আল মুনাদীর ৪০ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আল মুনাদী রুবি জয়ন্তী ২০২৫ অনুষ্ঠিত তৃণমূল কর্মীদের প্রত্যক্ষভোটে মনোহরগঞ্জ বিএনপির ওয়ার্ড সম্মেলন অনুষ্ঠিত গল্প –মৌলিনাথের একজন নন্দিনী ছিল –সুনির্মল বসু

নিজামীপুত্র-মীর কাশেম কন্যার গুরুতর অভিযোগ নেতৃবৃন্দের ফাঁসির জন্য বর্তমান জামায়াত নেতারা দায়ী

স্টাফ রিপোর্টার:
  • প্রকাশিত: সোমবার, ২৮ এপ্রিল, ২০২৫
  • ৬ বার পড়া হয়েছে

জায়াতের শীর্ষ নেতা মতিউর রহমান নিযামী, আলী আহসান মুহাম্মদ মুজাহিদ, আবদুল কাদের মোল্লা, মো. কামারুজ্জামান, মীর কাশেম আলীর বিচারের নামে ফাঁসি দেয়ায় দলটির নেতাদের দায়ী এমন অভিযোগ তুলছে ওই নেতাদের পরিবারের সদস্যরা।

মীর কাসেম আলীর কন্যা তাহিরা তাসনিন বিনতে কাসেম বলেছেন, মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ফাঁসি কার্যকর হওয়া জামায়াত নেতাদের রক্ষায় দলটির নেতারা যথাযথ পদক্ষেপ নিতে গড়িমসি করেছেন। গত শনিবার নিজের ফেসবুকে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে তিনি এ অভিযোগ করেন। একই ধরণের অভিযোগ করেছেন জামায়াতের সাবেক আমীর মাওলানা মতিউর রহমান নিযামীর পুত্র।

মীর কাসেম আলী জামায়াতের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য ছিলেন। যুদ্ধাপরাধ মামলা শুরুর সময় তিনি আমেরিকায় ছিলেন। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে জামায়াত নেতাদের বিচার শুরুর পর তিনি দেশে ফিরে আসেন। দেশে ফেরার কয়েকদিন পর ২০১২ সালের জুন মাসে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ২০১৬ সালের ০৩ সেপ্টেম্বর রাতে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে তার মৃত্যুদ- কার্যকর করা হয়। মীর কাশেমের পুত্র ব্যারিষ্টার মীর আহমদ বিন কাশেম আরমানকে দীর্ঘ ৮ বছর ঘুম করে ‘আয়নাঘরে’ রাখা হয়েছিল।

শিল্পপতি হিসেবে পরিচিতি মীর কাসেমকন্যা তাহিরা তাসনিন বিনতে কাসেম তার স্ট্যাটাসে বলেন, পারিবারিকভাবে তারা আমাদের অনেক কাছের, বিশেষ করে তাহের চাচা, মীর কাসেম আলীর। কিন্তু জামায়াত দল হিসেবে যথাযথ পদক্ষেপ নিতে গড়িমসি করেছে তাদের নেতাদের (মতিউর রহমান নিযামী, আলী আহসান মুহাম্মদ মুজাহিদ, আবদুল কাদের মোল্লা, মো. কামারুজ্জামান, মীর কাশেম আলীর) ফাঁসি আটকাতে। দিনের আলোর মতো যা আজ স্বচ্ছ। এটা তো সবাই একমত হবেন। তিনি আক্ষেপ করে বলেন, শহিদি মর্যাদাই আমাদের একমাত্র সান্ত¡না এখন এবং আগামীতেও। এছাড়া আপনজনেরা তো শুধু ধোকা দিয়েছে।

তাহিরা ক্ষোভ প্রকাশ করে আরো লেখেন, জামায়াত আমাকে এমপি পদ অফার দিলেও আমি সারাজীবন এটা বলে যাব যে, নিজের হাতে হত্যা না করলেও আমাদের বাবাদের হত্যার পেছনে তারাও দায়ী। এটা আমার কাছে এক প্রকার ক্রাইম অব অমিশন। তিনি জামায়াতের বর্তমান নেতাদের উদ্দেশ্যে লেখেন, ‘তারপরও আপনারা ভালো থাকেন, আমার বাবাদের প্রাণপ্রিয় সংগঠন ভালো থাকুক’।

প্রসঙ্গত, ক্রাইম অব অমিশন: আইনি ভাষায়, ক্রিমিনাল অমিশন বা অপরাধমূলক অবহেলা বলতে এমন অপরাধকে বোঝায়, যেখানে কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর আইনসম্মত কর্তব্য পালনের সুযোগ থাকা সত্ত্বেও তা না করে অপরাধ সংঘটিত হতে পরোক্ষভাবে সাহায্য করে। অর্থাৎ আইনগতভাবে যদি কোনো ব্যক্তি সক্ষম হওয়া সত্ত্বেও তার ওপর অর্পিত আইনি কর্তব্য পালন না করে এবং তার ফলে অপরাধজনিত ক্ষতি ঘটে, তাহলে একে একটি পূর্ণাঙ্গ অপরাধের বিকল্প হিসেবে গণ্য করা হয়।

এর আগে জামায়াতের সমালোচনা করে দলটির সাবেক আমির মতিউর রহমান নিজামীর ছেলে মোহাম্মদ নাদিমুর রহমানও সোশ্যাল মিডিয়ায় স্ট্যাটাস দেন। নিজামী ১৯৯১ ও ২০০১ সালে জাতীয় সংসদের এমপি নির্বাচিত হন এবং বাংলাদেশ সরকারের কৃষি (২০০১-২০০৩) ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের (২০০৩-২০০৬) মন্ত্রী হিসেবে সফলতার সঙ্গে দ্বায়িত্ব পালন করেন। মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মৃত্যুদ-াদেশ পাওয়ার পর ২০১৬ সালের ১১ মে তার ফাঁসি কার্যকর করা হয়।

নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে নিজামীপুত্র মোহাম্মদ নাদিমুর রহমান লেখেন, কথাগুলো শতভাগ সত্য এবং যৌক্তিক। আর জামায়াতের নীতি-আদর্শ থাকবেই বা কী করে? জামায়াতের যেই ছয় নেতার অন্যায়ভাবে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে হত্যা করা হয়েছে তাদের এই ফাঁসি ঠেকাতে পারলেই না জামায়াতের নীতি-আদর্শ ঠিক থাকতো। উলটো ছোটজন বলেছিলেন- ‘তারা এখন জেলখানায় আরাম করুক আর আমরা এখন একটু খাই’। আর বড়টা তো পরে মুখ ফসকে বলেই ফেলেছিলেন- ‘তারা জেলখানায় পচে মরুক, আমরা আমাদের সংগঠন গোছাবো, না হলে আমাদের সন্ত্রাসী সংগঠন বানিয়ে দেবে’। পরবর্তীতে তো আবার আরেকটা সলিমুদ্দীন না কলিমুদ্দীন কি নাম, এক বক্তৃতায় তো বললেনই- ‘আমরা যদি আইন না মানতাম তাহলে আপনারা আমাদের একটা নেতাকেও ফাঁসি দিতে পারতেন না’। আরে, ছাত্ররাও যদি আইন মানতো, তাহলে এই জালেম হাসিনা সরকারের পতন জীবনেও ঘটাইতে পারতো না। নিয়ামী পুত্র আরো বলেন, বাংলাদেশ নতুনভাবে স্বাধীন হওয়ার পর আওয়ামী লীগকে ক্ষমা করার কথা বলে কে আওয়ামী লীগের পুনর্বাসন চায় এটা পুরো ক্রিস্টাল ক্লিয়ার (দলটির বর্তমান আমির ডা. শফিকুর রহমান আওয়ামী লীগকে ক্ষমা করে দেয়ার ঘোষণা দেন)। এখন আবার শুরু করেছে সকালে এক কথা আর রাতে আরেক কথা বলা। আবার অন্যদিকে এক নেতার এক কথা আবার আরেক নেতার আরেক কথা। অর্থাৎ কোনোটার সঙ্গে কোনোটার মিল নেই।

স্ট্যাটাসে নিজামীপুত্র মানবতাবিরোধী মামলায় মৃত্যুদ-প্রাপ্ত জামায়াতের আরেক নেতা এটিএম আজহারুল ইসলামের জন্য নেক হায়াত ও সুস্থতা কামনা করেন। সেই সঙ্গে তিনি যেন দ্রুত মুক্তি পেয়ে জামায়াতের হাল ধরেন এমন প্রত্যাশাও ব্যক্ত করেন নাদিমুর।

এছাড়া সম্প্রতি জামায়াতে ইসলামীর প্রীতি সমাবেশে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ও কালবেলার সম্পাদক সন্তোষ শর্মার উপস্থিতি নিয়েও বির্তক তৈরি হয়েছে। বিষয়টি নানা মহলে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হলে ফেসবুকে ক্ষমা চেয়ে পোস্ট করেন শিবিরের সাবেক সভাপতি এবং জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারি ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম। তবে স্ট্যাটাসটি দেওয়ার কিছু সময় পরই সেটি ডিলিট করে দেন তিনি।

জামায়াতের শীর্ষ সাবেক দুই নেতার পুত্র ও কন্যার বক্তব্য নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় তোলপাড় চলছে। নেটিজেনরা নিজেদের মতো বিতর্ক করছেন। তবে বেশির ভাগ নেটিজেন বলছেন, অধ্যাপক গোলাম আজম, মতিউর রহমান নিযামী, আলী আহসান মুহাম্মদ মুজাহিদ, আবদুল কাদের মোল্লা, মো. কামারুজ্জামান, মীর কাশেম আলী, এটিএম আজহারুল ইসলামরা হিন্দুত্ববাদী ভারতের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছিলেন। সে কারণে তাদের প্রতি আওয়ামী লীগ বিক্ষুব্ধ ছিল। মূলত দিল্লির এজেন্ডা বাস্তবায়ন করা হয়েছে। আর বর্তমান জামায়াত নেতারা আওয়ামী লীগের চেয়েও বেশি ভারতপ্রেমি।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন
© সমস্ত অধিকার সংরক্ষিত
ওয়েবসাইট ডিজাইন: ইয়োলো হোস্ট