
জানিনা কোন অজানার টানে লক্ষ্যহীন হেঁটে চলি
কোন উদ্দেশ্যে মাঝে মাঝে এমন টি হয়।
চলতে পথে তোমায় ভেবে আচমকা দাঁড়িয়ে পড়ি
আর ভাবি অভিমানের পরিধিটা এত বড় কেন?
জানালার এক পাশে দাড়িয়ে দেখি ওই নীল আকাশ
ভালোবাসার আবীরে ঢাকা জ্যোস্নাভরা এ রাত।
হঠাৎ যখন তোমার চোখে চোখ পড়ে যায়
অভিমানী চোখে যখন তাকাও আমার দিকে
দেখি আলতো করে নেমে আসা জলের ফোঁটা
গন্ড বেয়ে ছুটছে।
টানা চোখের বাঁকা চাহনি লাগছে তোমায় খুব,
রেগে যাওয়া কপালের ভাজ গুলো তারাও আজ
অজানা কারণে একেবারে চুপ।
ভালো করে তাকিয়ে দেখি মুখে তোমার একটু হাসি
সাথে চোখে এক সমুদ্র পানি রাশি রাশি,
ভাবছ তুমি বলবে আমায় দেখেছো,
বলবে আমি ভালো আছি।
না এমনতরো কেউ জিজ্ঞেস করে?
আমিতো দেখছি তোমার মুখায়ব চাহুনি সাথে শরীর
ভেদ করে তোমার অভিমানী হৃদয়টি।
তোমার ভীরু ভীরু চোখের চাওয়া বলছে
কত না বলা কথা,
বলতে গিয়ে কাঁপা স্বরে হঠাৎ করে চুপসে থাকা।
চুপটি করে জানালা দিয়ে চাঁদটাও দেয় যে উঁকি,
দেখছে তোমার অভিমানী মুখ ফোলানো চেহারাটি।
চাঁদটাও ডেকে বলছে ঝেড়ে ফেলো না অভিমান।
চোখটি এবার বাঁকা করে দেখছ আমায় ঠায়,
এ ছাড়া অন্য কিছু কি তোমার বলার নাই।
ভালোবাসি তাইতো তোমার কাছে ছুটে আসি,
রাগ অভিমান ঝেড়ে ফেলো চলো চাঁদের আলোয়
দু’জনে একটু ঘুরি।
ভুলতো তবু মানুষেরই হয় করবো না আর এমন কখনো,
মুচকি হেসে আলতো করে চুপি স্বরে আমায় বলে,
কভু এমন কাজ আর করোনা,এমনি করেই মিষ্টি অভিমানের হল শেষ ।