মনোহরগঞ্জ সংবাদদাতা :
কুমিল্লা জেলার মনোহরগঞ্জ থানার হাসনাবাদ ইউনিয়নের জিনারা গ্রামে অবস্থিত ‘জিনারাগ অহিদুল আলম দারুল কোরআন ইসলামিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানা’তে এক মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে। মাদ্রাসার ছাদের উপর থেকে এক ছাত্রের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহত ছাত্রের নাম এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করা না হলেও, তার গ্রামের বাড়ি চাটখিল থানার অন্তর্গত বাংশা গ্রামে।
জানা গেছে, ছেলেটির বাবা মাইনুদ্দিন পেশায় একজন মাংস ব্যবসায়ী এবং বাংশা বাজারে দীর্ঘদিন যাবত ব্যবসা পরিচালনা করে আসছেন। মায়ের স্নেহে বেড়ে ওঠা ছেলেটি পরিবারে একমাত্র সন্তান, যাকে নিয়ে বাবা-মায়ের ছিল অনেক স্বপ্ন। তাঁরা ছেলেকে আলেম বানিয়ে দেশের ও মানুষের সেবায় নিয়োজিত করার আশায় মাদ্রাসায় ভর্তি করেছিলেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ঘটনার দিন মাদ্রাসার কিছু বড় ছাত্রের সঙ্গে তার কথা কাটাকাটি হয়। এর ঠিক এক ঘণ্টা পর মাদ্রাসার ছাদে অবিচ্ছিন্ন অবস্থায় মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখা যায় । পরে পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। মৃত্যুর সঠিক কারণ এখনো নিশ্চিতভাবে জানা যায়নি।
ছেলেটির পরিবারের দাবি, এটি নিছক কোনো দুর্ঘটনা নয় বরং এর পেছনে থাকতে পারে পরিকল্পিত কোনো অপকর্ম। মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ প্রথমে ফোন করে ছেলেটির বাবাকে জানায়, “জলদি মাদ্রাসায় আসুন।” কিন্তু যে দৃশ্য বাবাকে দেখতে হয়েছে, তা কোনো বাবার কল্পনারও বাইরে। নিজ সন্তানের নিথর দেহ দেখে ভেঙে পড়েন তিনি। এলাকাবাসীর মতে, এই মাদ্রাসায় অতীতেও কিছু “আলোকিক” বা রহস্যজনক ঘটনা ঘটেছে বলে শোনা যায়।
এখন পর্যন্ত কোনো পক্ষই নিশ্চিত করে কিছু বলতে পারছে না। তবে ছেলেটির বাবা আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন এবং ঘটনার সঠিক তদন্তের মাধ্যমে ন্যায়বিচার পাওয়ার আশা প্রকাশ করেছেন।
স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরাও দ্রুত ও সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে এবং পুলিশ তদন্তে নেমেছে।
ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত ও সত্য প্রকাশের মাধ্যমে এই নির্মম ঘটনার সঠিক বিচার যেন নিশ্চিত হয় — এই প্রত্যাশা সবার