এদেশে যত রক্তাক্ত ঘটনা সবগুলোর সঙ্গে আওয়ামী লীগ জড়িত বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, একটা দেশে যখন নৈরাজ্য রক্তপাত অন্যায় অবিচার শুরু হয় তখন সাধারণত দেশের জনগণ ঐক্যবদ্ধভাবে এর বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমে আসে। সেনাবাহিনী দেশের জনগণের একটি বাহিনী। তারা দেশের জনগণের পক্ষে থাকবে। বিভিন্ন সময় বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় এরকম হয়েছে। ১৯৭৫ সালে ১৫ আগস্ট যে মর্মান্তিক ঘটনাটা ঘটেছে সেই ঘটনার সঙ্গে শেখ মুজিবুর রহমানের সরকারের লোকজন জড়িত।
বুধবার (৬ নভেম্বর) নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, ৩ নভেম্বর আরেকটা ঘটনা ঘটলো। দেশ অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়ল তখন সেনাবাহিনী তাদের যে নির্দিষ্ট সীমা সেই সীমা থেকে বেরিয়ে আসলো এবং দেশের জনগণ তাদের অধিকার আদায়ের জন্য বেরিয়ে আসলো। তখন এক মহাবিপ্লব সংঘটিত হল। পরাজিত শক্তি যারা এদেশের গণতন্ত্রকে হত্যা করেছিল তাদেরই একটা অংশ পরাজিত হল। স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ জিয়াউর রহমান তখন জেলে ছিলেন। তিনি জেল থেকে বের হলেন এদেশের জনগণ আশা দেখলেন তারা গণতন্ত্র ফিরে পাবেন। মুক্তির যে ইচ্ছা আকাঙ্ক্ষা সেটা ফিরে পাব। এই স্বপ্ন পূরণে এক অদম্য সাহসী রাষ্ট্রনায়কের ভূমিকায় আবির্ভাব হলেন স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান।
রিজভী আরও বলেন, ৭ নভেম্বরের স্পিডটা হচ্ছে যে দেশীয় স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব অক্ষুন্ন রাখা। ৭২ থেকে ৭৫ পর্যন্ত সেই নিশ্চয়তা ছিল না। অন্য দেশের হুকুমের গোলাম ছিল। কিন্তু ৭ নভেম্বরের পড়ে স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ জিয়াউর রহমান যখন প্রেসিডেন্টের ক্ষমতা নিলেন তখন একটা স্বাধীন পররাষ্ট্রনীতি কৃষি-নীতি শিল্পনীতি করলেন।
বিএনপির মুখপাত্র বলেন, এই গণঅভ্যুত্থানে ছাত্র জনতা সম্মিলিতভাবে রাস্তায় নেমে এসেছে। এখানে ছাত্রদের ভূমিকা অপরিসীম। তারা সামনের কাতারে দাঁড়িয়ে জীবনকে উৎসর্গ করে শেখ হাসিনাকে পতন করেছে। ৭ নভেম্বরে যে স্পিডটা দেখেছি সেটাই এখানে কাজে লাগিয়েছে। এখন আমাদের আরও কিছু কাজ বাকি আছে। একটি সুষ্ঠু নির্বাচন এবং প্রয়োজনীয় সংস্কার করতে হবে। ৭ নভেম্বরের চেতনা যুগ যুগ ধরে থাকবে। যখনই কোন সরকার ফ্যাসিবাদ রূপ ধারণ করবে একনায়তন্ত্র ধারণ করবে গণতন্ত্র হত্যা করবে তখনই ৭ নভেম্বরের চেতনায় তাদের বিরুদ্ধে জনগণ রাস্তায় নেমে আসবে।