সম্প্রতি কুমিল্লার মনোহরগঞ্জ উপজেলার লক্ষণপুর ইউনিয়নের জালুকাঠি বাড়ি এলাকায় জমি দখলের চেষ্টা ও গাছ কেটে নেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করে নিজেদের নাম জড়িয়ে প্রকাশিত সংবাদকে “ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত” দাবি করে প্রতিবাদ জানিয়েছেন সঞ্জয় বর্মন (৩৮) ও কেশব বর্মন (৩৫)।
তারা (দুই ভাই) বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) এক বক্তব্যে বলেন, সংবাদে আমাদের জমি দখলের চেষ্টা ও গাছ কাটার অভিযোগ তোলা হলেও প্রকৃতপক্ষে এটি একটি দীর্ঘদিনের পারিবারিক জায়গা-জমি সংক্রান্ত বিরোধ, যার এখনো বৈধ ভাগ-বাটোয়ারা হয়নি। ভোগদখল নিয়ে পারস্পরিক ভুল বোঝাবুঝি থাকলেও, আমরা কারো গাছ কাটিনি বরং আমরা আমাদের জায়গার গাছ কেটেছি এবং আমরা কারো প্রাণনাশেরও হুমকি দিইনি।”
এসময় সঞ্জয় বর্মন ও কেশব বর্মন পাল্টা অভিযোগ করে বলেন, আমাদের চাচাতো ভাই সুকুমার বর্মন জোরপূর্বক আমাদের জায়গা দখল ও এজমালি জায়গার গাছ কেটে নিয়ে যায়। আমরা বারবার এসব বিষয় সামাজিক ও পারিবারিক ভাবে সমাধানের চেষ্টা করলেও সুকুমার স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সালিশদারদের না-মানায় তা সম্ভব হচ্ছে না।
সঞ্জয় বর্মন বলেন, আমার ক্রয়কৃত জমির মধ্যে মাটি ভরাট করেছি এবং সেটি এখন আমার দখলেই আছে। আমি কারো জমি দখল করে মাটি ভরাট করিনি। যেসব অভিযোগ উঠেছে, তার ভিত্তি নাই। তাছাড়া সুকুমার বর্মন যে জায়গাগুলো বিক্রি করেছেন, তিনি সেসব জায়গা রাস্তাসহ বিক্রি করেছেন। ফলে, আমাদের বাড়ির মূল রাস্তায় এখন ওয়াল উঠে গেছে, যার কারণে গাড়ি নিয়ে চলাচল কঠিন হয়ে পড়েছে। আমরা সম্প্রতি বাড়িতে একটি মন্দির নির্মাণের কাজ শুরু করেছি। কিন্তু রাস্তার সমস্যার কারণে সেই কাজের মালামাল আনতে দ্বিগুণ খরচ লাগছে। আগে আমাদের বাড়িতে বড় ট্রাক্টর এবং এম্বুলেন্স পর্যন্ত ঢুকতে পারত, কিন্তু এখন একটি রিকশাও ঢুকতে কষ্ট হয়।
তারা দু’জনই দাবি করেন, "গণমাধ্যমে তাদের বিরুদ্ধে যেসব তথ্য এসেছে, তা ভিত্তিহীন ও সাজানো। তারা এর তীব্র প্রতিবাদ জানান।
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে স্থানীয় মেম্বার আব্দুর রহিম বলেন, দীর্ঘদিন ধরে দু’পক্ষের মধ্যে জায়গা-জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। তারা উভয় পক্ষে এগিয়ে আসলে তাদের জায়গা-জমি সংক্রান্ত জটিলতা নিরসনে আমরা চেষ্টা করবো।