মনোহরগঞ্জ (কুমিল্লা):
এক সময় মনোহরগঞ্জ উপজেলার রাজনীতি ও প্রশাসনিক কর্মকাণ্ডের ছায়ানীড় হিসেবে পরিচিত ছিলেন যুবলীগ নেতা জহিরুল ইসলাম। কিন্তু আজ তিনি আলোচনার কেন্দ্রে নন, বরং আতঙ্কের প্রতীক হয়ে উঠেছেন এলাকাবাসীর কাছে। দীর্ঘদিন ধরে তার ছত্রচ্ছায়ায় মনোহরগঞ্জে গড়ে উঠেছিল একটি ক্ষমতাধর চক্র, যারা এলাকার বিচার-আচারসহ সামাজিক কার্যক্রমে দাপটের সঙ্গে আধিপত্য বিস্তার করে আসছিল।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, জহিরুল ইসলামের নাম শুনলেই সাধারণ মানুষ আতঙ্কিত হয়ে পড়ত। তার কথাই ছিল শেষ কথা, কারো কোনো মতামত বা প্রতিবাদের সুযোগ থাকত না। এমনকি থানায় অভিযোগ জানালেও প্রভাবের কারণে অনেক সময় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হতো না।
তবে আগস্ট মাসের পর থেকে হঠাৎ করেই তিনি আত্মগোপনে চলে যান। বর্তমানে তার কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। মনোহরগঞ্জ থানায় তার বিরুদ্ধে একাধিক ফৌজদারি মামলা রুজু রয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে চাঁদাবাজি, ভয়ভীতি প্রদর্শন, অবৈধ জমি দখলসহ গুরুতর অভিযোগ।
এলাকার জনগণের দাবি, যত দ্রুত সম্ভব তাকে আইনের আওতায় আনা হোক। তারা বলেন, “আমরা শান্তি চাই, সন্ত্রাস নয়। জহিরুল ইসলাম যেখানেই লুকিয়ে থাকুক, রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে তাকে গ্রেফতার করে আইনের মুখোমুখি করা হোক।” একইসঙ্গে তারা তার সহযোগীদের বিরুদ্ধেও যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।
এই প্রেক্ষাপটে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে মনোহরগঞ্জবাসী। এখন দেখার বিষয়, কবে নাগাদ গ্রেপ্তার হবে এই আলোচিত যুবলীগ নেতা এবং ফিরবে মনোহরগঞ্জে স্বস্তির নিঃশ্বাস।