শেষ হয়েছে আলোচনার তুঙ্গে থাকা বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগের (বিপিএল) একাদশ আসর। টিকিটির জন্য শুরুর দিকে ভাঙচুর হয়েছে শেরে বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামের ফটক ও টিকিট বুথ। নেতিবাচক দিক বাদ দিলে এবারের আসরে দর্শকদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেট তিন ভেন্যুতেই ভক্ত-সমর্থকদের উল্লাস মন কেড়েছে মাঠের ক্রিকেটারদেরও। শেষ পর্যন্ত এবারের এক আসর থেকে শুধুমাত্র টিকিট বিক্রি করে যে আয় হয়েছে, তা প্রায় ছুঁয়ে ফেলেছে গত দশবারের সম্মিলিত উপার্জনকে।
বিসিবি সভাপতি আরও বলেন, ‘ছোট্ট একটা তুলনা যদি দেই, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড গত ১০ আসরে টিকিট বিক্রি করেছে ১৫ কোটি টাকার মতো। সেটা বিবেচনা করলে আমরা এক বছরেই সেটার কাছাকাছি চলে এসেছি।’ বিপিএলের লাভের অংশ ভাগাভাগির বিষয়টি নিয়ে চর্চা হয়েছে এর আগেও। বিভিন্ন সময় ফ্র্যাঞ্চাইজি মালিকেরা তাদের এসব দাবি তুলে ধরেন।
গত আগস্টে বিসিবির দায়িত্ব নেয়ার সময় ফারুক আহমেদের কাছেও ছিল একই দাবি। তখন লাভের পরিমাণটা না জানার কারণে রেভিনিউ শেয়ারিংয়ের বিষয়ে আশ্বস্ত করতে পারেননি তিনি। তবে এবার মালিকদের সুখবর দিয়ে ফারুক বলেন, ‘সব ফ্র্যাঞ্চাইজির জন্য সুখবর, যদিও রেভিনিউ শেয়ারিং বলতে সব ক্ষেত্রেই ভাগাভাগি বুঝায়। কিন্তু অন্যগুলো ওরকম করে করতে পারিনি। তাই টিকিট বিক্রি করে যে আয় হয়েছে, এখান থেকে ভালো একটা অংশ সাত ফ্র্যাঞ্চাইজিকে দেয়ার চেষ্টা করব।’ সদ্য শেষ হওয়া বিপিএল আসরে অব্যবস্থাপনার কথা স্বীকার করেন ফারুক। তবে শেষ পর্যন্ত ভালোভাবে আসরের সমাপ্তি টানাতে তৃপ্তির ঢেকুর তুলে তিনি বলেন, ‘বিপিএলে অবশ্যই কিছু ঘাটতি ছিল। প্রথম দিকে টিকিট, নতুন একটা সিস্টেম, ঝামেলা ছিল। সব কিছু আমি মেনে নিচ্ছি। তবে যদি সার্বিকভাবে বিপিএল দেখেন, দর্শক, উইকেট, টিকিট বিক্রি, দর্শকদের অংশগ্রহণ ও টিভি প্রোডাকশন... টিভি ক্রু থেকে ধারাভাষ্যকার পর্যন্ত। স্যার কার্টলি অ্যামব্রোস বলেছেন, তার দেখামতে উইকেট ও সব মিলিয়ে গত তিন বছরের মধ্যে এটা সেরা বিপিএল। আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি।’