শীতের গভীর রাত। কুয়াশার চাদরে ঢাকা শহরের অলিগলি। বিখ্যাত গোয়েন্দা আরিয়ান চৌধুরী তাঁর ডায়েরির পাতা উল্টে বসে আছেন। হঠাৎ করেই দরজায় কড়া নাড়ার শব্দ।
দরজা খুলতেই দেখা গেলো, একজন বয়স্ক ভদ্রলোক, চোখে আতঙ্কের ছাপ।
"আমাকে বাঁচাতে হবে, চৌধুরী সাহেব!" তিনি বললেন।
"কী হয়েছে?" আরিয়ান শান্ত কণ্ঠে জিজ্ঞেস করলেন।
"আমার কাছে একটা চিঠি এসেছে। একেবারে অদ্ভুত! কেউ আমাকে খুন করতে চায়!"
চিঠিটা হাতে নিয়ে আরিয়ান দেখতে লাগলেন। কালো কাগজে সাদা অক্ষরে লেখা ছিল:
"১৪৪০, পূর্ণিমার রাত, পুরোনো মন্দির। এটাই তোমার শেষ ঠিকানা।"
চিঠিতে কোনো স্বাক্ষর নেই। রহস্য ক্রমেই গভীর হচ্ছিল।
পরের দিনই তদন্ত শুরু করেন আরিয়ান। সে শহরের ঐতিহাসিক পুরোনো মন্দিরে পৌঁছালেন। চারপাশে নীরবতা। মন্দিরের ভাঙা অংশে হঠাৎ তাঁর নজরে পড়লো একটা খোদাই করা সংকেত। সেটা একধরনের সাংকেতিক ভাষা। তিনি দ্রুত সংকেতটি নিজের খাতায় নকল করলেন।
সংকেতটি ভাঙতে গিয়ে দেখা গেল:
"আগুনের সিঁড়ি ধর, যেখানে সময় থেমে আছে।
এটা বুঝতে আরিয়ানের বেশি সময় লাগলো না। শহরের পুরনো ঘড়ি টাওয়ার, যেখানে অনেক দিন থেকে ঘড়ির কাঁটা বন্ধ।
রাতের আঁধারে আরিয়ান ঘড়ি টাওয়ারে গেলেন। সেখানে একটি সিঁড়ি দেখলেন, যা মাটির নীচে নামছে। সিঁড়ি বেয়ে নেমে দেখতে পেলেন একটা ছোট ঘর। ঘরের দেয়ালে ছিল আরও একটি সংকেত:
"সত্যের দরজা খোলার আগে, মিথ্যার জাল ছিঁড়তে হবে।"
ঘরের এক কোণায় একটা ছোট বাক্স ছিল। খুলতেই ভেতর থেকে বের হলো একটা পুরনো পাণ্ডুলিপি।
পাণ্ডুলিপি পড়ে আরিয়ান বুঝলেন, পুরো ঘটনাটা আসলে এক ধরণের মানসিক খেলা। এই ভদ্রলোকের পূর্বপুরুষরা বিশাল ধনসম্পদ লুকিয়ে রেখেছিলেন এবং সেই ধনসম্পদের সন্ধান পেতেই একদল অপরাধী এই রহস্যময় সংকেত তৈরি করেছিল।
আরিয়ান সব ঘটনা উন্মোচন করে ভদ্রলোককে সতর্ক করলেন। পুলিশের সহায়তায় অপরাধীদের গ্রেপ্তার করা হলো।
পুরনো মন্দির থেকে উদ্ধার হলো এক সিন্দুকভর্তি ঐতিহাসিক ধনসম্পদ।
সমাপ্ত