প্রিন্ট এর তারিখঃ ডিসেম্বর ১৭, ২০২৫, ৭:০৮ পি.এম || প্রকাশের তারিখঃ অক্টোবর ২৬, ২০২৪, ৫:১০ এ.এম
দেশ ও জাতিসত্তাাবিরোধী ষড়যন্ত্র মোকাবেলায় সক্রিয় থাকতে হবে – মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন।
আওয়ামী-বাকশালী ফ্যাসিস্টরা ক্ষমতা থেকে বিদায় নিলেও তারা তাদের দোসরদের মাধ্যমে দেশকে অস্থিতিশীল করার গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে; তাই দেশ ও জাতিস্বত্তাবিরোধী সকল ষড়যন্ত্র মোকাবেলায় ইসলামী আন্দোলনের কর্মীদেরকে ময়দানে আরো সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমীর মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন।
তিনি আজ সকালে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের একটি মিলনায়তনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী উত্তরের মোহাম্মদপুর অঞ্চল আয়োজিত ইউনিট প্রতিনিধি সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও মোহাম্মদপুর অঞ্চল পরিচালক জিয়াউল হাসানের সভাপতিত্বে সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে দারসুল কুরআন পেশ করেন বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ ও কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ শূরা সদস্য ড. আব্দুস সামাদ। উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগরী উত্তরের মজলিসে শূরা সদস্য আব্দুল আউয়াল আজম, সাখাওয়াত হোসেন ও মশিউর রহমান প্রমুখ।
সেলিম উদ্দিন বলেন, ছাত্র-জনতার যুগপৎ আন্দোলনে বিজয় অর্জিত হলেও ষড়যন্ত্র এখনো বন্ধ হয়নি। আমাদের যে-কোনো উদাসীনতা ও নির্লিপ্ততায় ফ্যাসীবাদী ও মাফিয়াতান্ত্রিক অপশক্তি আবারো মাথাচাঁড়া দিয়ে উঠতে পারে। তাই অর্জিত বিজয়ে অতি উল্লসিত না হয়ে বিজয়কে অর্থবহ করতে দলমত নির্বিশেষে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। জামায়াতের সকল স্তরের জনশক্তিকে পালন করতে হবে দায়িত্বশীল ও ঐতিহাসিক ভূমিকা। তাহলেই আমরা দেশে একটি ন্যায়-ইনসাফভিত্তিক শান্তির সমাজ বিনির্মাণ করতে সক্ষম হবো। দেশে নতুন করে ফ্যাসিবাদ ও স্বৈরাচারের উত্থান ঘটবে না। তিনি জামায়াত কর্মীদের দেশাত্মবোধে উদ্বুদ্ধ হয়ে দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও অখণ্ডতা রক্ষায় ময়দানে সর্বোচ্চ কোরবানীর নজরানা পেশ করতে প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, জামায়াত একটি আদর্শবাদী, গণমুখী ও ইনসাফপূর্ণ রাজনৈতিক সংগঠন। আমরা দেশকে ইসলামী কল্যাণরাষ্ট্রে পরিণত করার জন্য দীর্ঘ পরিসরে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি। জামায়াত সব সময়ই সুশৃঙ্খল, সহনশীল, উদার মনোভাবাপন্ন ও আমানতদার জনশক্তি তৈরির মাধ্যমে দেশে নৈতিক বিপ্লব ঘটাতে চায়। দেশকে ক্ষুধা, দারিদ্র, অপশাসন ও দুঃশাসন মুক্ত করতেও আমরা বদ্ধপরিকর। আমরা গণমানুষের কল্যাণে বিভিন্ন গণমুখী তৎপরতা চালিয়ে আসছি। মানুষের কল্যাণের জন্য আমরা বিভিন্ন জনহিতকর ও দাতব্য প্রতিষ্ঠান, চিকিৎসা সেবার জন্য হাসপাতাল ও শিক্ষা সম্প্রসারণে স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় ও মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করেছি। আমরা বেকারত্ব দূরীকরণ ও অত্মকর্মসংস্থানের জন্যও বিভিন্ন কর্মসূচি আমাদের রয়েছে। আমরা সুদবিহীন ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করে প্রমাণ করেছি একবিংশ শতাব্দীতেও সুদ ছাড়া অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করা সম্ভব। তিনি দেশকে কল্যাণ রাষ্ট্রে পরিণত করতে সকলকে ময়দানে আরো অধিকতর সক্রিয় হওয়ার আহবান জানান।
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত