বিশিষ্ট আলেমে দ্বীন অধ্যপক মাওলানা আ ন ম রশীদ আহমাদ মাদানীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান আলোচক ছিলেন বাংলাদেশ মাজলিসুল মুফাসসিরীনের সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মাওলানা নূরুল আমীন। সভায় বক্তব্য রাখেন ঢাকা মহানগরী উত্তরের উপদেষ্টা ডক্টর মাওলানা হাবিবুর রহমান, বাংলাদেশ মাজলিসুল মুফাসসিরীনের সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা নাসির উদ্দিন হেলালি।
এসময় উপস্থিত ছিলেন মাজলিসুল মুুফাসসিরীনের ঢাকা মহানগরী উত্তরের সহ-সভাপতি মাওলানা আ ন ম মাইনুদ্দিন সিরাজী ও মুফতি মাসুদুর রহমান, বিদেশ বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা সাদিকুর রহমান আজহারী ও মাওলানা আনম আতিকুর রহমান নোমানী প্রমূখ।
সেলিম উদ্দিন বলেন, আল্লাহ রাব্বুল আলামীন বিশ্বনবী (সা.)কে হেদায়াত ও সত্য দ্বীন সহকারে প্রেরণ করেছিলেন; অন্যসব বাতিল দ্বীনের ওপর বিজয়ী করার জন্য। তাই আমাদের প্রত্যেকের ওপর দ্বীন কায়েমের প্রচেষ্টা চালানো ফরজ বা অত্যাবশ্যক। এতে কোন মতবিরোধ করার সুযোগ নেই। রাসূল (সা.) এই মহান দায়িত্ব সফল ও স্বার্থকভাবে পালন করে গেছেন। তিনি দাওয়াতে শাহাদাত আলান্নাস ও শাহাদাতে হক্বের দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে নানাবিধ বাধা-প্রতিবন্ধতকা, হামলা ও অবর্ণনীয় নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন। জিহাদে অবতীর্ণ হয়ে তার দান্দান মোবারক শহীদ হয়েছিল। এর বাইরে দাওয়াতই ছিল তার জীবনের মূখ্য। এই দাওয়াত দিতে গিয়েই তিনি ঘরে-বাইরে আক্রান্ত হয়েছিলেন। শেষ পর্যন্ত তাকে হত্যা করার জন্য পুরস্কারের ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল। তাকে কারাবাস এবং শেষ পর্যন্ত হিজরত করতে হয়েছিল। তাই সকল বাধা- প্রতিবন্ধকতা উপেক্ষা করে আলেম সমাজকে তাদের দাওয়াতি মিশনে আপোষহীন ও অবিচল থাকতে হবে।
তিনি বলেন, রাসূল (সা.) মক্কী জীবনের দীর্ঘ ১৩ বছর লোক গঠনে আত্মনিয়োগ করেছিলেন। তার প্রধান কর্মসূচি ছিল মানুষের চরিত্র গঠন, আত্মগঠন, দাওয়াত সম্প্রসারণ,আকিদা ও দৃষ্টিভঙ্গী পরিবর্তন। তাই দ্বীনে হক্ব প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে আলেম সমাজকে রাসূল (সা.)-এর আদর্শ ও অনুসৃত নীতি গ্রহণ করে জীবনের সকল কর্ম সম্পাদন করতে হবে। তাফসির মাহফিল, ওয়াজ মাহফিল ও সেমিনার-সিম্পোজিয়ামের মাধ্যমে মানুষকে দ্বীন শেখানোর প্রাণান্তকর প্রচেষ্টা চালাতে হবে। এক্ষেত্রে বেশি বেশি দাঈ সৃষ্টির কোন বিকল্প নেই। মূলত, দাঈদের মাধ্যমেই সমাজ-রাষ্ট্র সঠিক পথে চলার দিক নির্দেশনা পায়। আর কুরআন-সুন্নাহর আলোকে সমাজের সকল স্তরে জাস্টিস প্রতিষ্ঠার চেষ্টা চালানো আলেম সমাজের অপরিহার্য দায়িত্ব ও কর্তব্য। তিনি কুরআন-সুন্নাহর আলোকে ন্যায়-ইনসাফভিত্তিক ইসলামী সমাজ প্রতিষ্ঠায় আলেমদেরকে ঐতিহাসিক ভূমিকা পালনের আহবান জানান।